• মে ৪, ২০২৪ ৫:১২ অপরাহ্ণ

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের উদ্দেশ্যে হামলা-ভাংচুর, আহত-৩

ডিসে ৫, ২০২০

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৩জন।আহত ৩ জনকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।আহতরা হলেন, দুলাল (২৭), ফরিদ (৫৫) ও হালিমা (৩৫)। এদের মধ্যে হালিমার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৬ নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ভুল্লী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ভূল্লী বাজারে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলো কীটনাশক ব্যবসায়ী বাহার উদ্দীন, ডেন্টাল ডাক্তার লাভলী বেগম ও চাল ব্যবসায়ী ইউনুছ আলী। বছর খানেক আগে জমির মূল মালিক সফিউল আলম এর নিকট হতে ওই তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৬ শতক জমি ক্রয় করেন।সম্প্রতি ভূল্লী এলাকার বাসিন্দা ইয়াকুব আলী গং সেই জমি নিজের দাবি করে ওই তিন ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি দেয়াসহ মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। এক পর্যায়ে ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। শুধু তাই নয়, এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নিজেদের বসত বাড়ীর পরিত্যক্ত একটি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে সাজানো নাটক তৈরী করেন বলে দাবি করেন হামলার শিকার বাহার উদ্দিনসহ অন্য দুইজন দোকান মালিক।হামলার ঘটনায় ইয়াকুব বাহিনীর হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন দুলাল, ফরিদ ও হালিমা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে আহতদের মধ্যে হালিমার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুরে রেফার্ড করে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ডেন্টাল ডাক্তার লাভলী বেগম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। পরবর্তীতে বছর খানেক আগে জমির মূল মালিক সফিউল আলম এর নিকট হতে আমিসহ বাহার উদ্দিন ও ইউনুছ আলী ১৬ শতক জমি ক্রয় করি। কিন্তু সেই জমি অবৈধভাবে নিজের দাবি করে আসছিলো ইয়াকুবসহ তার লোকেরা। তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় ন্যায় বিচার চেয়ে সদর থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।স্থানীয় বাসিন্দা হাসানুজ্জামান হৃদয় জানান, ঘটনার দিন অতর্কিতভাবে ইয়াকুব আলীর লোকেরা বাহার উদ্দিন, ইউনুছ আলী ও লাভলী বেগমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং তারা নিজেরাই তাদের ঘরবাড়ীতে আগুন লাগিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরী করে এবং বাহার উদ্দিনের লোকদের মারপিট করতে থাকে।ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত ইয়াকুব আলীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননি।অগ্নি সংযোগের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস এর কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, যে ঘরটিতে আগুন লেগেছে সেখানে কিছুই পাওয়া যায়নি। এটি একটি পরিত্যক্ত ঘর। সেখানে শুধু কয়েকটি টিন ছিলো।এ বিষয়ে ৫ নং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী মুক্তি জানান, জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কয়েকবার সালিশ বৈঠক করা হয়েছিলো। সালিশে বাহার উদ্দিনসহ অন্য দুইজন সালিশ মানলেও ইয়াকুব আলী এ সালিশ মানেননি।ঠাকুরগাঁও  সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, গত ১ ডিসেম্বর  রাতে ৯৯৯ নাইন নম্বরে কল কে কেন্দ্র করে আমরা ভুল্লিতে  গিয়ে দেখি  দোকান ঘর কে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পরে তাদের  নিবৃত্ত করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে  আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, এর মধ্যে বাহার উদ্দীন (কীটনাশক বাবসায়ী) কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সহ নানা অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ করছেন।