• মে ৩, ২০২৪ ১০:২৯ অপরাহ্ণ

করোনা ও শীত মোকাবেলায় শংকায় দিন কাটাছে কুড়িগ্রামে

নভে ২৮, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার:
করোনার ২য় দফা সংক্রমণ আর শীত মোকাবেলায় শংকায় দিন কাটছে দেশের বৃহত্তম চরাঞ্চল যুক্ত জেলা কুড়িগ্রামে। তবে করোনার সংক্রমণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, মোবাইল কোর্টে জরিমানা অব্যাহত রাখাসহ সংক্রমণ রোধে প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
দেশের দারিদ্রপীড়িত খ্যাত কুড়িগ্রাম জেলায় ১৬টি নদ-নদীতে প্রায় ৫২০টি চরাঞ্চল রয়েছে। এসব চরাঞ্চলে প্রায় ৫/৭ লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষের বসবাস। সারা বছর কাজ না থাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যায় কাজের সন্ধানে ছুটে যেতে হয় এখানকার শ্রমজীবি মানুষদের। করোনার প্রভাবে বেকার হয়ে পড়া শ্রমিক বা দিনমজুরেরা বাড়িতে ফিরে বেকার সময় পার করছে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ডসহ মানুষের জীবন যাপন প্রায় স্বাভাবিক কাটবে এবং করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মাঝেও শৈথিল্য এসেছে। হাট-বাজার কিংবা জনসমাগম এলাকায় অনায়সে মাস্ক বা সামাজিক দুরত্ব রক্ষায় নেই কোন বালাই। শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করায় করোনার প্রভাব নিয়ে শংকায় দিন কাটাতে হচ্ছে চরাঞ্চলবাসীসহ সাধারণ মানুষদের। তবে খেটে খাওয়ায় মানুষের মাঝে করোনার প্রভাব একদম নেই বললেই চলে। তাইতো সংসার চালানো কিংবা শীতের পোষাক ক্রয় সবকিছু মিলিয়ে করোনা নিয়ে নেই কোন মাথা ব্যথা। বরাবরের মতো তারা আস্থা রাখছেন সৃষ্টিকর্তা উপর। শীতজনিত রোগের উপসর্গ করোনাভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে অনেকটাই যাওয়ায় সঠিক চিকিৎসা পাবার শংকায় চরাঞ্চলবাসীর। করোনাভাইরাস আছে মোট চার রকমের যা সাধারণ সর্দি, জ্বরের লক্ষণ সৃষ্টি করে। প্রতিটিই সহজে ছড়ায় শীতের সময়। ইনফ্লুয়েঞ্জা, রাইনোভাইরাস এবং আরএসভি নামে আরেকটি ভাইরাসের সবগুলোরই আচরণ প্রায় একই রকম। ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আর শীত মোকাবেলায় ভাবিয়ে তুলেছে জেলাবাসীকে। শীতে করোনা সংক্রমণ রোধে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জনসাধারণের মাঝে মাস্ক পড়াতে এবং সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়াও সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাস্কহীন পথচারীদের জরিমানা আওতায় আনা হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলবাসীরা জানান, চরাঞ্চচলগুলোতে সারা বছর কাজ না থাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কাজের সন্ধানে ছুটে যেতে হয় এ অঞ্চলের মানুষজনের। করোনার প্রভাবে বেকার হয়ে পড়া শ্রমিক বা দিনমজুরেরা বাড়িতে ফিরে বেকার সময় পার করছে তালা। এছাড়া শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করায় করোনার প্রভাব নিয়ে শংকায় দিন কাটাতে হচ্ছে চরাঞ্চলবাসীসহ সাধারণ মানুষদের।
এব্যাপারে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, শীতে করোনার ২য় সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগ জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন সেন্টারসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়াও সর্বস্তরে করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিধি মানা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম অব্যবহত রাখা হয়েছে।