• মে ৯, ২০২৪ ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

কুড়িগ্রামে বন্যা আর করোনার কারণে চাহিদা কমেছে প্রতিমা’র

অক্টো ১৫, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার দুর্গার হাট নামে পরিচিত বৈদ্যেরবাজারে চলছে প্রতিমা তৈরীর ধুম। গতবছর এই গ্রামে আড়াইশটি প্রতিমা তৈরী করা হলেও এবার তা নেমে এসেছে ৭০টিতে। দফায় দফায় বন্যা, করোনা আর উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আর্র্থিকভাবে লোকসান গুণতে হচ্ছে এই শিল্পে নিয়োজিত মালাকারদের।
কুড়িগ্রাম শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত বৈদ্যেরবাজার গ্রাম। পুরো গ্রামটি এখন দুর্গারহাট নামে পরিচিত। এখানে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসে দুর্গার অর্ডার দিতে। কেউ কেউ পূজোর আগে দরদাম করে কিনে নেন প্রতিমা। প্রতি বছর দুশো থেকে তিনশো প্রতিমা তৈরী হয় এই গ্রামে। এবার সেই শিল্পে নেমেছে ধ্বস। করোনা আর বন্যার কারণে চাহিদা কমে গেছে। তাই বলে থেমে নেই প্রতিমা তৈরীর কাজ। লোকসান হলেও বাপ-দাদার পেশায় আঁকড়ে থাকা মানুষগুলো লেগে আছে প্রতিমা তৈরীর কাজে।
মালাকার ও কারিগররা জানান, জায়গা ভাড়া নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে মাটি ও উপকরণ কিনতে খরচ বেশি হওয়ায় এবার মালাকারদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। তারপরও আশা যদি বেশি দামে বিক্রি করে লোকসান পোষানো যায়।
কুড়িগ্রাম পূঁজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবি বোস জানান, কুড়িগ্রাম জেলায় এবার ৪৭৮টি পূঁজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সার্বজনিন পূঁজাকে উৎসবে রুপ দিতে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে হিন্দু ধর্মাবলম্বিরা। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কোনরুপ বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই শারদীয় দুর্গোৎসব পালন হবে বলে তিনি জানান।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই যাতে নির্বিঘ্নে পুজো উদযাপন করতে পারে এজন্য পুজোর আগে, চলাকালিন সময়ে ও পুজোর পরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আর ক’দিন পরেই ঢাকের বাঁজনা আর আরতীতে মূখরিত হবে মন্ডপগুলো। যদিও গতবারের চেয়ে এবার ১৪টি মন্ডপ কমে গেছে।