• এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ২:১৭ অপরাহ্ণ

নাগেশ্বরীতে বিএডিসি’র বিরুদ্ধে সেচ লাইসেন্স প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ

জানু ৩, ২০২১

হাফিজুর রহমান হৃদয়, নাগেশ্বরী:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন’র (বিএডিসি) বিরুদ্ধে সেচ লাইসেন্স প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন সেচ লাইসেন্স বঞ্চিত ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান আনিছ নামের এক যুবক। সে উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের শালমারা, টুপমারী গ্রামের আব্দুল গফুর প্রধানের ছেলে।
অভিযোগে জানা যায়, আনিছুর রহমান ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর সেচ লাইসেন্সের জন্য নাগেশ্বরী বিএডিসি অফিসে আবেদন করেন। যার নম্বর-৬০৭। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর অতিবাহিত হলেও সেচ লাইসেন্স পাননি তিনি। অপরদিকে অনেক সময় পরে অন্য একটি আবেদন করেই আনিছুর রহমানের বোডিং দেখিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শামছুল প্রধান নামের আরেকজনকে লাইসেন্স প্রদান করেন বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। যার দুরত্ব আনিছুর রহমানের সেচ বোডিং থেকে মাত্র আনুমানিক ২০০ফিট। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। এদিকে আনিছুর রহমানের সেচ বোডিং থেকে পার্শ্ববর্তী অন্য একটি সেচ বোডিং এর দূরত্ব ১ হাজার ফিটের অধিক। কিন্তু বিএডিসি কর্তৃপক্ষ অর্থের বিনিময়ে ওই বোডিং এর দূরত্ব ৬৩৫ ফিট দেখিয়েছেন যা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা তথ্য এবং এ ব্যাপারে সত্যি কথা বলার পরও বিএডিসি কর্তৃপক্ষ মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে আনিছুর রহমানের আবেদনটি অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও আনিছুর রহমান আনিছ আরও অভিযোগ করে বলেন, আমার সেচ লাইসেন্সের জন্য বিএডিসির কর্মকর্তা আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেছেন। আমি দিতে না পারায় তিনি আমার আবেদনটি বাতিল করে নয়িম বহির্ভুতভাবে অন্য একটি আবেদনের লাইসেন্স দেন।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ওই সময় ছিলাম না। আমার আগেরজন পরিদর্শন করে এসেছেন। তবে ভভিযোগকারী যদি আবার একটি আবেদন বা আমার এখানে অভিযোগ করেন তবে বিষয়টি সরেজমিন ঘুরে লাইসেন্স দেয়ার যোগ্য হলে দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহমেদ মাছুম বলেন অভিযোগ তদন্তাধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।