• ডিসেম্বর ৮, ২০২৩ ৯:২৪ অপরাহ্ণ

পঙ্গুত্ব থেকে বাঁচতে চায় চিলমারীর আইরিন

নভে ১৬, ২০২৩

চিলমারী প্রতিনিধি:
চিলমারী উপজেলা পাত্রখাতা এলাকার দিনমজুর আব্দুল আজিজের কন্যা আইরিন। সুস্থ্য ভাবে জন্ম নিলেও বর্তমানে জীবন যাপন করছে পঙ্গুত্বের। ৮ম শ্রেনীর এই শিক্ষার্থীর দিন কাটছে বিচানায় শুয়ে। পঙ্গুত্ব থেকে রক্ষা চায় আইরিন, ফিরতে চায় সুস্থ্য জীবনে, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে হতে চায় ব্যাংকার। স্পাইনাল কড ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কোমরের নিচের অংশ পঙ্গুত্ব বরন কারী আইরিন চিকিৎসা করলে সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা প্রয়োজন যা তার দিনমজুর বাবার পক্ষে যোগান দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা মাষ্টার পাড়া এলাকার দিনমজুর মোঃ আব্দুল আজিজ মিয়ার কন্যা মোছা. আইরিন আক্তার (১৫)। স্থানীয় পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। লেখা-পড়ার প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্বেও সে পঙ্গুত্বের কারনে অন্যান্য বন্ধু-বান্ধবীদের মতো মাদ্রাসায় গিয়ে লেখা-পড়া করতে পারছেনা, পারছেনা খেলা ধুলাও করতে। আইরিন আক্তার জানায়, আমি সুস্থ্য জীবনে ফিরতে চাই, পঙ্গত্ব থেকে বাঁচতে চাই, উচ্চ শিক্ষা গ্রহন তরে ব্যাংকে চাকুরী করতে চাই। আইরিনের মা মোছাঃ নাছিমা বেগম জানান, দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ছোট আইরিন। ছোট বেলা থেকেই বেশহৃষ্ট-পুষ্টছিল। ৫বছর বয়সে হঠাৎ ডান পা খুড়িয়ে হাটতে থাকে সে। মেয়েকে ডান পা খুড়িয়ে হাটতে দেখে আমরা চিন্তায় পড়ি এবং বাড়ীতে কবিরাজ এনে ঝাঁড় ফুক করাই। ঝাঁড় ফুকের চিকিৎসা দিয়ে ডান পা খুড়িয়ে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ভালই চলছিল আইরিন। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ওঠার পর হঠাৎ করে কোমর থেকে নিচের অংশ অবস হয়ে যায়, স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে রংপুর, শেষে ঢাকায় নিয়ে যাই আইরিনকে। এক পর্যায়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসা শেষে সাভারের সিআরপি হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন তারা। পরে সিআরপি হাসপাতালে নিয়ে ২৪দিন চিকিৎসাও নেয়া হয়েছিল। দিনমজুর আইরিনের বাবা বিভিন্ন জায়গায় ঋন করে প্রায় সাড়ে ৩লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছিল যা চিকিৎসা পিছনে ব্যয় হয়। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় ২৪ দিন পর বাড়ীতে ফিরে আসতে হয়। চিকিৎসক ৬মাসের মধ্যে আবারও ডাকলে আমরা অর্থের অভাবে যেতে পারি নাই। এসময় আইরিনের মা দুঃখ করে বলেন, টাকার অভাবে আজ মেয়ের চিকিৎসা করাতে আমরা ব্যর্থ, পঙ্গুত্বের কারনে মাদ্রাসাও যেতে পারছে না। ঢাকা সাভারস্থ সিআরপি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। দিনমজুর হিসাবে অন্যের ভাটায় কাজ করা আইরিনের পিতার পক্ষে এত টাকা যোগান দেয়া অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। মেধাবী ছাত্রী আইরিন সুস্থ হয়ে লেখা-পড়া করতে চায়। এজন্য তিনি বিত্তশালীদের সহযোগীতা কামনা করেন। যোগাযোগ মো.আব্দুল আজিজ (আইরিনেরবাবা) ০১৯৭৮-৮৯৬৬৮৭।