• সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩ ৫:৫৩ অপরাহ্ণ

কুড়িগ্রামে বহু প্রাচীন প্রথা ভেঙে ইসলামিক শরিয়ত অনুযায়ী ব্যতিক্রম বিয়ের অনুষ্ঠান

সেপ্টে ১৪, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার:

বিয়ের প্রচলিত নিয়ম ভেঙে নতুন আঙ্গিকে অতি প্রাচীন প্রথার পরিবর্তে ইসলামিক শরিয়ত অনুযায়ী জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়েছে। বিয়ে বাড়িতে গান বাজনার পরিবর্তে আয়োজন করা হয় ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। ব্যতিক্রমী এমন ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের উলিপুরে।

অনুষ্ঠানে বর কনের উপস্থিতে পরিবেশিত হয় ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

জানা গেছে, উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম রাজুর সঙ্গে একই ইউনিয়নের দীঘলহাইল্যা গ্রামের মাও. আতাউর রহমানের মেয়ে তহুরা জান্নাত মনির বিয়ের ঠিক হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) কনের বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে বর রাজুর বাড়িতে বউয়ের আগমন উপলক্ষে গান বাজনার পরিবর্তে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজু ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান ও রহিমা বেগমের ছেলে।

বর রাজুর বাড়ির পার্শ্বে হাতিয়া ভবেশ স্কুল মাঠে বিবাহ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইসলামিক গান পরিবেশন করেন, জাতীয় শিশু কিশোর ইসলামিক সংগঠনের (কলরব) শিল্পী তাহসানুল ইসলাম তাহসীন ও আব্দুল খালেক।

এ অঞ্চলের মানুষ সাধারণত বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে বাহারি গান ও ডান্স পার্টিতে অভ্যস্ত। ঠিক সেখানেই বিয়ে বাড়িতে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এলাকায় ব্যাপক সারা ফেলেছেন রাশেদুল ইসলামের পরিবার। বিষয়টি স্থানীয়দেও সবার মুখে মুখে।

এ বিষয়ে সংগীত শিল্পী আব্দুল খালেক বলেন, বিয়ে একটি পবিত্র কাজ। বিয়ে বাড়িতে গান বাজনা হারাম। তবে এই বিয়েতে গান বাজনার পরিবর্তে ইসলামিক সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এটা এ অঞ্চলের একটি ব্যতিক্রম অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বয়সী মানুষের সমাগম ঘটে।

বর রাশেদুল ইসলাম রাজু বলেন, অনেকে অনেক ভাবে তাদের বিয়েটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চান। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে এমন একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কনের বাবা মাও. আতাউর রহমান বলেন, বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন, এ উপলক্ষে ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানটি এলাকায় প্রথম। আমরা আশা করি তরুণরা এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হবে।

স্থানীয় সাবেক সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম বলেন, গতকাল বিকেলে ইসলামিক সঙ্গীত শিল্পীর আগমনের বিষয়টি মাইকিং করে জানানো হয়। পরে রাতে ইসলামিক সঙ্গীত অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ে বাড়িতে সাধারণত গান বাজনার আয়োজন করা হয়ে থাকলেও রাজুর বিয়েতে আয়োজন করা হয়েছে ইসলামী সঙ্গীতানুষ্ঠানের।