• জুন ৯, ২০২৩ ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ

জামালপুরে অস্থির পেঁয়াজের বাজার

সেপ্টে ১৬, ২০২০

ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধের খবরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশি পেঁয়াজের দাম। এরই মধ্যে জামালপুরের কয়েকটি বাজার থেকে পেঁয়াজ উধাও।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জামালপুর সদর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জের কয়েকটি বাজারে ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।  

চলতি মাসের প্রথম দিকে ভারতীয় পণ্য আমদানির ঋণপত্র (এলসি) করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকায় আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে তা বেড়ে দাঁড়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ আর দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকায়।

কিন্তু পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ার খবর প্রচার হওয়ার সঙ্গে এক লাফে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন দাম আরও বাড়বে।
স্থানীয় আড়তগুলোতেও পেঁয়াজ নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যার যার মতো করে এসব পেঁয়াজ সংগ্রহ করেছেন বলে জানান আড়ত মালিকরা।

এদিকে চলতি বন্যায় জামালপুরের কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি। এবারের বন্যায় এক কৃষি খাতেই ১৪০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম।

তিনি জানান, চলতি তিন দফা বন্যা শেষে রবি মৌসুম শুরু হলেও অতিবৃষ্টির কারণে পানি জমে থাকায় জমি চাষ করতে পারছেন না সাধারণ কৃষকরা। ফলে কৃষি পণ্যের দাম দিনদিন ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।

তবে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে কঠোরভাবে নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন। এছাড়া একজন ব্যক্তিকে ৫০০ গ্রামের বেশি পেঁয়াজ না কেনার অনুরোধও করা হয়েছে।

এদিকে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে টেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এছাড়া পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) এনামুল হক।

ডিসি এনামুল হক জানান, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৩০ টাকা কেজি দরে সরকারিভাবে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় বাজার মনিটরিং শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করলে আইনের আওতায় আনা হবে।