চিলমারী প্রতিনিধি:
সকল নিয়ম কে হার মানিয়ে রাজত্ব যেন চলছে অনিয়মের। কাগজ কলমে উত্তোলন দেখানো হলেও বাস্তবে রয়ে গেছে খাদ্যগুদামে। ৩০ জুনের মধ্যে উত্তোলন করার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারনে ২ মাসেও বিতরন করা হয়নি জিআর প্রকল্পের চাল। সু-কৌশলে আত্মসাতের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কাগজ কলমে জুন মাসে চাল উত্তোলন দেখানো হলেও চেয়ারম্যানরা এখনো চাল নেননি স্বীকার করেছেন খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যায় থাবায় অসহায় হয়ে পড়ে মানুষ। বন্যার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন সরকার। এরই পেক্ষিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে চিলমারীতে উক্ত অর্থ বছরের সর্বশেষ ৩০ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয় ২৯ জুন। বরাদ্দের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা ৬টি ইউনিয়নে মাঝে বিভাজন করে দেয়া হয়। এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে ২ মাস কেটে গেলেও বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করা হয়নি এবং নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ্য ভাবে খাদ্যগুদামে চাল রেখেই সময় পাড় করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুধু তাই নয় বরাদ্দকৃত চাল জুন মাসেই উত্তোলন দেখানো হলেও খাদ্যগুদাম থেকে বের হয়নি ২ মাসেও। দুই মাস পেড়িয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত সুবিদাভুগিদের ভাগ্যে জোটেনি সময় মতো ত্রাণের চাল ও সহায়তা।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ মানুষরা জানান, কি আর কমো হামরা সব সময় তো আমাদের হক মেরে খায় মেম্বার, চেয়ারম্যানরা সাথে তো অফিসাররা আছে। তারা আরো বলেন, তোমাক কয়াও লাভ নাই তোমরা কি করবেন ওমরা ভুয়া নাম দিয়ে কৌশলে খায়া ফেলায়। এদিকে বরাদ্দকৃত চাল বিতরন না করেই সু-কৌশলে আত্মসাতের পরিকল্পনাও চলছে বলেও উঠেছে অভিযোগ। সময় মতো বিতরন না করা এটি রহস্য জনক বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৬টি ইউনিয়নে ৩০ মে. টনের মধ্যে থানাহাটে ৬ হাজার ৪৫০ কেজি, নয়ারহাটে ৪ হাজার ৯৭০ কেজি, রানীগঞ্জে ২ হাজার ৩৪০ কেজি, রমনা মডেলে ৫ হাজার ৫২০ কেজি, অষ্টমীরচরে ৬হাজার ৬০ কেজি ও চিলমারী ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬৬০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এবং চেয়ারম্যানদের নামে ডিও দেয়া হয়েছে। তবে এখনো বিতরনের তালিকা পাওয়া যায়নি।
কথা হলে উপজেলা ভারঃ খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, আমাকে জুন মাসেই বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন দেখাতে হয়েছে কাগজ কলমে, আর চাল কেন নিচ্ছে না তা চেয়ারম্যানরা জানেন আর বিষয়টি ইউএনও স্যার অবগত রয়েছেন। তবে এই কর্তকর্তা আরো জানান, এখনো (৩০আগষ্ট/২২) পর্যন্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন চাল উত্তোলন করেনি আমরা তাদের চাল উত্তোলনের জন্য বারবার বলছি। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা চাল উত্তোলন হয়নি জানালেও অষ্টমীর চর ইউপি চেয়ারম্যান চাল বিতরন করেছেন বলে জানান।
থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, বিভাজন করতে সংশ্লিষ্টরা দেরি করেছে এবং আমরা চিঠি চলতি মাসে পেয়েছি তাই চাল এখনো উঠানো হয়নি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা সময় মতো বিভাজন করে চেয়ারম্যানদের নামে বরাদ্দ দিয়েছি তারা এখনো চাল কেন উত্তোলন করেনি তা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চিলমারীতে ২ মাসেও বিতরন হয়নি জিআর প্রকল্পের চাল
