চিলমারী প্রতিনিধি:
চিলমারীতে অনিয়ম আর দুর্নীতির মধ্য দিয়ে পুকুর খননে পুকুর চুরির অভিযোগ উঠেছে। খনন দেখানো হলেও অস্তিত্ব নেই পুকুরের। অভিযোগ উঠেছে দায়সারাভাবে কাজ ও খনন না করে বরাদ্দকৃত অর্থ কর্তৃপক্ষের সাথে আতাত করে হরিলুটের করেছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টরা। কাগজ কলমে থাকলে বাস্তবে ভিন্ন। নেই তদারকি নেই উদ্যোগ চলছে শুধু লুটপাট। ভেস্তে যাচ্ছে প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রংপুর বিভাগ মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প এবং জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উন্নয়ন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলাশয়ের জীব বৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ প্রকল্পর আওতায় উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের কড়াই বরিশাল আশ্রয়ন পুকুর খনন পুর:খনন প্রকল্পের জন্য ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হলেও উক্ত এলাকায় পুকুর খনন না করেই খনন দেখানো হয়েছে বলেও রয়েছে ব্যাপক অভিযোগ। ঘটনার সত্যত্বা স্বীকার করে ইউপি মেম্বার শহিদুল রহমান বলেন, কাগজে কলমে থাকলেও উক্ত স্থানে কোন খনন করা বা সংস্কার করা হয়নি। এছাড়াও মনতলা আশ্রায়ন পুুকুর পুনঃ খননের নামে ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও সেই নামে কোন আশ্রয়নে সন্ধান পাওয়া যায়নি। রমনা ইউপি পুকুর, ডুষমারা থানা পুকুর পুনঃ খনন প্রকল্পে ৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কর্তৃপক্ষের যোগসাজকে দায়িত্বরা দায়সারাভাবে কাজ করে বেশির ভাগ টাকা আত্মসাদ করেছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এদিকে অভিযোগ উঠায় নিজেদের সাধু বানাতে বিভিন্ন কায়দায় সংশ্লিষ্টরা চেষ্টা ও তদবির করে টাকা উত্তোলন ও ঘটনা ধামাচাপা চেষ্টা করাসহ নামে মাত্র দায়সারা পুকুর খনন করে ঘোলা জলে মাছ স্বীকার করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা মৎস্য অফিসার বদরুজ্জামান মিঞা বলেন, কাজ আদায় করে নেয়া হয়েছে এছাড়াও যতটুকু কাজ হয়েছে সেই অনুযায়ী বিল করা হয়েছে তবে অস্তিত্বহীন পুকুর পুন:খনন দেখিয়ে টাকা আত্মসাদ এর ব্যাপারে কোন সঠিক উত্তর দেননি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
চিলমারীতে পুকুর খননে ‘বড় চুরি’
