চিলমারী প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মহিলাদের আয়বর্ধক প্রশিক্ষানার্থী ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রশিক্ষানার্থী ভর্তিতে স্বজনপ্রীতি এবং নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি হাজিরা বা ভাইভা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন না করেও উর্ত্তীন হওয়া ও চুরান্ত তালিকায় স্থান পাওয়ায় প্রকৃত প্রশিক্ষানার্থীরা হতাশ।
জানা গেছে, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ২টি ট্রেডে প্রশিক্ষানার্থী নেয়া হয়। এর মধ্যে ফ্যাশন ডিজাইনে ২৫ জন এবং ক্রিস্টাল শোপিচ ট্রেডে ২৫ জন প্রশিক্ষানার্থী নেয়া হয়। উক্ত ট্রেডে উপজেলার দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত মহিলাদের নেয়ার কথা থাকলেও প্রশিক্ষানার্থী ভর্তিতে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আবেদনকৃত অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ভাইভা পরীক্ষার কথা বললেও শুধু হাজিরা নিয়েই বিদায় করা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, লোক দেখানো ভাইভা নেয় হয়েছে, সত্যি বলতে কি হয়তো সবকিছু আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছিল। এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অজ্ঞাত শক্তি বা সুপারিশের বলে ভাইভা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন না করেও চুরান্ত তালিকায় নাম প্রকাশ হওয়ায় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শুধু তাই নয় দুই ট্রেডে ৬টি ইউনিয়ন থেকে ৫০ জন প্রশিক্ষানার্থী নেয়ার কথা থাকলেও একমাত্র থানাহাট ইউনিয়ন থেকে প্রায় ২৮ জন নেয়ায় বাকি ইউনিয়নের বাসিন্দারা পড়েছেন হতাশায় এবং অভিযোগ তুলেছেন ব্যাপক অনিয়মের। অনিয়ম আর স্বজনপ্রীতির কারনে প্রকৃত দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত মহিলারা বঞ্চিত হওয়ায় সরকারের মহত উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে।
একটি সূত্রে জানা যায়, প্রতি বারেই এই প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি, সুপারিশ আর অনিয়মের কারনে প্রকল্পের উদ্দেশ্য তালা বন্ধ থাকছে।
অনিয়মের কথা অস্বীকার করে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ সকিনা বেগম বলেন, আমরা চেষ্টা করি সঠিক ভাবে করতে কিন্তু স্থানীয় কিছু চাপ থাকায় বিপাকে পড়তে হয় আমাদের। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চিলমারীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহন না করেও চুরান্ত তালিকায়
