সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ। কিন্তু আনন্দ আর খুশি নেই চিলমারীর কৃষক পরিবারে। সকল আনন্দ আর খুশি কেড়ে নিলো টানা বৃষ্টি, উজানের ঢল আর কালবৈশাখী। হতাশ আর চোখের জল যেন এখন নিত্যসঙ্গি। ফসল হারিয়ে দুশ্চিন্তা এখন কৃষক ও তাদের পরিবার।
জানা গেছে, কয়েকদিনের টানা বর্ষণ, উজানের ঢল, হঠাতেই ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি ও কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারীর কৃষকগন। পানি বৃদ্ধি ফলে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ধান ক্ষেত, পিয়াজ ক্ষেত, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলি ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার হতাশার কৃষকগন। রয়েছেন পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে। এদিকে উঁচু অঞ্চল এলাকায় কালবৈশাখী ও ঝড়ো হাওয়ার থাবায় ফসল ঘরে তোলার আগেই মাটিয়ে শুয়ে নষ্ট হচ্ছে ধান ক্ষেত। হঠাতেই দুর্যোগের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়েছে ফসলের মাঠ। সাথে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষক সমাজ দেখা দিয়েছে হাহাকার। হাজার হাজার টাকা খরচ করে ফসল ঘরে তোলার আগেই তা চোখের সামনে নষ্ট হতে দেখে কৃষকের চোখে ঝড়ছে জল। এমন সময় ঈদুল ফিতর সামনে থাকলেও নেই তাদের মাঝে ঈদ আনন্দ, মুখে নেই হাসি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ফসল পানির নিচে এবং উঁচু অঞ্চলের ধান ক্ষেত কালবৈশাখীর ছোবলে মাটির সাথে মিশে রয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে আধা পাকা ধান কাটলেও অনেকে মজুরির অভাবে কাটতে পারছেনা। কথা হলে রাজারভিটা, মন্ডল পাড়া, শরীফের হাট, মাছাবান্দাসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা বলেন, ধানের যা অবস্থা এতে করে কামলা ( শ্রমিক) দের খরচেই উঠবেনা। তারা আরো জানান, চারপাশে ঈদের আনন্দ চাকুরীজীবি ও ব্যবসায়ীরা কেনাকাটা করছে তাদের বউ বাচ্চারা খুশি কিন্তু ফসল নষ্ট হওয়ায় বউ ছাওয়াদের কিছু দিতে পারছিনা, কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া। চরাঞ্চলের কৃষকরা বলেন টানা বৃষ্টি আর অসময়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সকল ফসল নষ্টের পথে সারা বছর কি ভাবে চলবো তাই নিয়ে চিন্তায় আছি তাই ঈদ আর আনন্দ মনে নেই। বৃষ্টি পানি বৃদ্ধি ও বাতাসে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্বীকার করে উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রনয় বিষাণ দাস বলেন, এখন পর্যন্ত ভুট্টা ২৫ হেক্টর, বোরো ১৫০ হেক্টরসহ চরাঞ্চলের পিয়াজ ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিমান এখনো নির্নয় করা হয়নি।
ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত চিলমারীর কৃষক পরিবার
